রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি ॥ জোয়ারের পানিতে ভেসে যাওয়া ঘেরে পুনরায় মাছ চাষের জন্য সরকারী সহয়তা চেয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলার মৎস ব্যাবসায়ী ও চাষীরা। এতে অংশ নেয় অর্ধ শতাধিক মৎস্য ব্যাবসায়ী ও মৎস্য চাষী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো.জুবরাজ আকন।
লিখিত বক্তবে বলা হয়, আমরা এই এলাকার বেকার যুবক। চাকুরীর পিছে না ঘুরে নিজ উদ্যোগে মৎস্য হ্যাচারী ও মাছের ঘের করে মাছ চাষ করে আসছি। কিন্তু আমাবস্যার প্রভাবে গত ১৯ থেকে ২৪ আগষ্টে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে আমাদের শত শত হেক্টর জমির ঘের তলিয়ে যায়। এতে গলদা, বাগদা, রুই, কাতল, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে যায়। এছাড়াও নষ্ট হয়ে যায় হ্যাচারীতে চাষ করা মাছের রেনু পোনা। কিন্তু এত বড় বিপর্যয় গেলেও মৎস্য বিভাগ কিংবা সরকারের কোন প্রতিনিধি এসে আমাদের একটু খোঁজও নেয়নি। এমনকি মোবাইল ফোনে বারবার অনুরোধ করেও মৎস বিভাগের লোকজনকে ঘটনা স্থলে আনতে পারিনাই।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ব্যবসায়ী রওশান মৃধা বলেন, ‘এবছর আমি ৪টি ঘেরে মাছ চাষ করছি। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়। কিছু দিন পরেই মাছ ধরার সময় ছিল। ঘের গুলো যদি পানিতে না তলিয়ে যেত, তাহলে এবছর অন্তত ৫০ লাখ টাকার মাছ বিক্র করতে পারতাম। লাখ লাখ টাকা লোকশান দিয়ে এখন আমরা শূন্য হয়েগেছি। ঘুরে দাড়ানোর মতো কোন পথ আমাদের নেই। মৎস্য চাষীরা যাতে পুনরায় মাছ চাষ করতে পারে, সে জন্য সরকারের কাছে সগযোগীতার দাবী জানাচ্ছি।’ একইভাবে দাবী জানান- মৎস চাষী রাহাত হাওলাদার, আহসান মনির, রবিউল হাসান, সোলায়মান ফরাজি, নুর জামাল ও হানিফ শিকাদার প্রমুখ। রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল জানান, জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ উপজেলায় প্রায় ১৫শ’ মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। ২৮০ হেক্টর জমির ঘের থেকে মাছ ভেসে যায়। এতে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে এবং পরবর্তিতে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply